কবিতা- “অবিন্যস্ত অবিনাশী অনুরাগ”

“অবিন্যস্ত অবিনাশী অনুরাগ”
-শ্রী শুক্রাচার্য্য…

 

এক খন্ড পৃষ্ঠায় যেন আঁকিবুঁকি কেটেছে;
ভূপৃষ্ঠের নদী পুকুর খালবিল
এভাবেই ছুটে গেছে…
প্রকৃতির যৌবনের মাতাল রূপে বিভোর,
তরু কান্তার যেন যৌনতায়
নিস্তব্ধ হয়ে আছে…
দর্শক গগনের অঝোর ক্রন্দন ধারা নিয়ত
সিক্ত করে, কিছু স্মৃতি মুছে দেয়;
যেন ভুল শব্দের বানান…
কান্তার পথে নির্ভীক চন্দ্রিমা একাকী নৃত্য
করে, জোয়ার ভাটায় রূপক ছলে;
তরুলতা আর গুল্ম পেতে রাখে কান…
প্রকৃতি মিলনের নন্দ পরিহাসে অশান্ত ভানু
লুটোপুটি খায়, লজ্জার আনাচে কানাচে;
পাগল হয়ে ওঠে নিসর্গ…
কলকল ধারা ছলছল হারা আবেগী নির্ঝরিণী,
ফুরুফুরু সমীরে উরু উরু মহীরুহ পল্লব নাচে;
কাঁপে অনন্ত কাঁপে ভূস্বর্গ…
ঝুরুঝুরু পরশে আগ্নেয়গিরি বরষে গুরুগুরু
শব্দের লাজে, রাঙা পর্বত শৃঙ্গের সাজে;
বেদনার আর্তনাদ শুনতে চাও…
দুরু দুরু বুকে সুরাসুর সুখে আত্মহারা প্রাণীকুল,
জন্ম মৃত্যুর চাদরে ঢাকা স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে;
যত অবান্তর ইচ্ছা সাজাও…
ঝিকিমিকি তারা মিটিমিটি হাসে অমাবস্যার রাতে,
ধিকিধিকি জ্বলে অশান্ত অভিমানী চন্দ্রিমা;
আদিত্য অভিসার আলিঙ্গনে…
বিন্দু বিন্দু বরিষ ধারা হিন্দু সিন্ধু সরিৎ এ ঝরা,
রবি চন্দ্র মিলন বেলায় যেন নাচে তালে তালে;
কল্লোলিনীর হৃদয় অঙ্গনে…
একাকী নির্জন নিহারিকার অগুন্তি স্রোতে ভেসে,
অজুত সাংখ্য দর্শনে হেসে হেসে কথা বলে;
উলঙ্গ কালপুরুষ দোতারা হাতে…
বিজলীর তরঙ্গে ছলকে ছলকে ওঠে তোমার মঞ্চ;
পবন দাপটে বাগিচায় ঝরে পড়ে পুষ্পবৃষ্টি,
আমি ঘুমিয়ে পড়ি গভীর রাতে…
ঢুলুঢুলু আননে স্বপ্নের কাননে আপনারে ভুলি;
গহীন নিদ্রায় কে যেন গোধূলির আলো মেখে,
বিস্তৃর্ণ জলধির পরে…
এক পক্ষ কৃষ্ণ নামে ষোল সূর্যের বাঁধন খুলে;
দ্বি পক্ষ শুক্লা নামে ডাক শুনে রাধিকা বলে,
হরে কৃষ্ণ হরে রাম রাম রাম হরে…

Loading

Leave A Comment